করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় সরকারও দফায় দফায় বাড়াচ্ছে সাধারণ ছুটি। সেই সঙ্গে সবাইকে ঘরে রাখতে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।
দিনরাত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা করছেন মানুষকে ঘরে রাখতে। তবে যাদের জন্য এতো আয়োজন মানছেন না তারাই। নেত্রকোনা জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করলেও রাত বিরাতে বাড়ি ফিরছেন গার্মেন্টস কর্মীসহ বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক। নানা অযুহাতে তারা এখান থেকে ওখানে যাচ্ছেনই।
ধান কাটা শ্রমিক সেজে বাস ভরে কেন্দুয়া, দুর্গাপুর ও মোহনগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় আসার চেষ্টা করে প্রতিনিয়ত পুলিশের হাতে ধরা পড়ছেন অনেকেই।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে নেত্রকোনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চেকপোস্টে পুলিশের কাছে ধরা পড়ল ঢাকার মিরপুর থেকে আসা বাস যাত্রীরা। মিরপুর মেট্রো সার্ভিসে নারী পুরুষ শিশু মিলিয়ে ৪১ জন যাত্রী নিয়ে আসে ওই বাসটি।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলমের সামনে পড়তেই বাসটি জানান তারা মোহনগঞ্জ ধান কাটতে যাবে। কিন্তু বাসের ভেতর তল্লাশি করতেই দেখা গেছে বিভিন্ন বয়সের ৪১ জন যাত্রী। তাদের কেউ ধান কাটা শ্রমিক নয়। পরবর্তীতে তাদের তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় বাসটিকে ঢাকায় ফিরিয়ে দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম জানান, বাসটির সব তথ্য রেখে দেয়া হয়েছে। যাতে করে আর কেউ এমন মিথ্যার আশ্রয় না নিয়ে লকডাউন অমান্য করে সে জন্য ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
এর আগেও কেন্দুয়াতে দুটি বাসকে জরিমানা এবং দুর্গাপুরে প্রাইভেটকারকে জরিমানা করা হয়।