রাজধানীতে হঠাৎ করেই দিনের বেলায় যেন নেমে এলো অন্ধকার। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে কালো মেঘে ঢেকে গেছে পুরো রাজধানী। বাইরে তাকিয়ে বোঝার উপায় নেই এখন রাত না দিন।
এদিকে, দেশের বিভিন্ন স্থানে আগামী ২৪ ঘণ্টা শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঝড়ো-হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিও হতে পারে।
সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারে মৃত্যুহার ২৮ শতাংশ
কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনকে ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। করোনা আক্রান্ত যেসব রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ তাদের জন্য অ্যাজিথ্রোমাইসিনসহ কিংবা ছাড়া হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সেবনের পরামর্শ দেয়া শুরু হলেও গবেষকরা বলছেন, এতে করে মৃত্যু ঝুঁকি আরও বাড়ার শঙ্কাই বেশি।
ম্যালেরিয়ানিরোধী ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারে সুস্থ হবেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী, তা নাকচ করে দিয়েছেন একদল গবেষক।
তাদের দাবি, এটা সেবনে মৃত্যুর হার বেশি, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই ওষুধের কোনো কার্যকারিতা নেই। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রবীণ কর্মকর্তাদের শরীরে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন কতটা কাজ করেছে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থায়নে গবেষণাটি সম্পন্ন হয়েছে।
গবেষণাটি করতে গত ১১ এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সুস্থ কিংবা মৃত্যুবরণ করা ৩৬৮ জনের মেডিকেল রিপোর্ট যাচাই করেছেন গবেষকরা।
এতে দেখা যায়, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন সেবন করেছেন এমন রোগীর মৃত্যুর হার ২৮ শতাংশ। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক অ্যাজিথ্রোমাইসিন সেবনকারীদের মৃত্যুহার ২২ শতাংশ। যারা সাধারণ চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে মৃত্যুহার ১১ শতাংশ।
কিন্তু এই গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘাটতিও রয়েছে। এছাড়া এই গবেষণালব্ধ ফল এখনো স্বীকৃত কোনো সত্য নয়। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডায় গবেষণা চলছে।
এছাড়া মার্কিন অর্থায়নে করা এই গবেষণায় দেখা যায়, যারা অন্য অ্যান্টিবায়োটিক নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ৭ শতাংশ রোগীকে শ্বাসজনিত সমস্যার জন্য ভেন্টিলেশনে পাঠাতে হয়েছে।
অপরদিকে শুধু হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করা হয়েছিল যে রোগীদের ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন পড়েছে ১৪ শতাংশের।
ফ্রান্স থেকে প্রকাশিত একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে করোনা প্রতিরোধে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের ইতিবাচক কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে এর আগে জানানো হয়েছিল।