5169
Loading ...

মহিপুর প্রেসক্লাব : স্থবিরতা কাটাতে উদ্যোগ, কতটা সফল হবে?

তানজিল জামান জয়, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মহিপুর প্রেসক্লাব—একসময় সাংবাদিকদের প্রাণকেন্দ্র ছিল। সংবাদ সম্মেলন, মতবিনিময় কিংবা সাংবাদিকতার নানা কর্মযজ্ঞে সরগরম থাকত এই প্রেসক্লাব। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর কার্যক্রম একেবারেই স্থবির হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা বিচ্ছিন্ন, সাধারণ মানুষের সংবাদ প্রকাশের সুযোগও সংকুচিত। ফলে এই অচলাবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে—প্রেসক্লাব কি সত্যিই তার সামাজিক ও পেশাগত ভূমিকা হারিয়ে ফেলছে?

এমন প্রেক্ষাপটে প্রেসক্লাবকে পুনরায় সক্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েছেন মিজানুর রহমান রিপন। তিনি মনে করেন, প্রেসক্লাব হলো সাংবাদিকদের স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম। সংগঠন সচল থাকলে সংবাদকর্মীরা পেশাগত অনুপ্রেরণা পাবেন এবং জনগণের কথাও কার্যকরভাবে তুলে ধরা সম্ভব হবে।

তবে রিপনের এই উদ্যোগকে ঘিরে অনেকের ভিন্নমতও রয়েছে।
স্থানীয় কৃষক নেতা মোঃ ফোরকান জানান, তারা একাধিকবার সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েও সাংবাদিক পাননি। এতে মহিপুরের মানুষ বাধ্য হয়ে কুয়াকাটা বা কলাপাড়ায় সংবাদ প্রকাশ করতে যান। এর ফলে স্থানীয় সমস্যাগুলো প্রাপ্য গুরুত্ব হারায়।

একইভাবে সাধারণ বাসিন্দাদের অভিযোগ—একটি গুরুত্বপূর্ণ মৎস্যবন্দর মহিপুরে প্রেসক্লাব থাকলেও, সেটি বেশিরভাগ সময় থাকে তালাবদ্ধ। ফলে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন কিংবা গণমানুষের বক্তব্য প্রকাশ কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

এখন প্রশ্ন হলো, শুধু ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রেসক্লাব সচল হবে কি না। সংগঠনের ভেতরে ঐক্য, নেতৃত্বের স্বচ্ছতা এবং সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এ স্থবিরতা কাটানো সম্ভব নয়। রিপনের আহ্বান হয়তো প্রথম ধাপ, কিন্তু স্থায়ী সমাধান পেতে হলে সাংবাদিকদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

স্থানীয় সাংবাদিক মহলে ধারণা—যদি প্রেসক্লাব আবার প্রাণ ফিরে পায়, তবে শুধু গণমাধ্যমই নয়, গণতন্ত্রচর্চাও উপকৃত হবে। কারণ গণমানুষের সমস্যাকে আলোচনায় আনার অন্যতম মাধ্যমই হলো সাংবাদিকতা। আর প্রেসক্লাব হলো সেই আলোচনার প্ল্যাটফর্ম।

Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *