
তানজিল জামান জয় (পটুয়াখালী প্রতিনিধি)
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মৎস্যবন্দর মহীপুরে ভূমি অফিসের পাশেই অবস্থিত ৫২ শতক আয়তনের একমাত্র খাস পুকুরটি দখলদারদের দৌরাত্ম্যে এখন অস্তিত্ব সঙ্কটে। শুধু পুকুরটিই নয়, চারপাশের পাড়ের ৩১ শতক খাস জমিতেও তোলা হয়েছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। ফলে পুকুর থেকে এক কলসী পানি নেয়ার পথটুকুও অবশিষ্ট নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দখলদাররা চারদিক আগলে রাখার পাশাপাশি জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছে এবং সেগুলো পজেশন হস্তান্তরের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এভাবে অন্তত পাঁচ কোটি টাকার সরকারি সম্পদ হুমকির মুখে পড়েছে। পুকুরটির অবস্থান জেএল নম্বর ২৬ এর শিববাড়িয়া মৌজার এক নম্বর খাস খতিয়ানের এসএ ৩১২৬ নম্বর দাগে (আয়তন ৫২ শতক) এবং পুকুরপাড় ৩১২৫ নম্বর দাগে (আয়তন ৩১ শতক)। সর্বমোট ৮৪ শতক খাস জমি এখন দখলবাজদের নিয়ন্ত্রণে।
অভিযোগ রয়েছে, মহিপুর তহশীল অফিসের কিছু কর্মকর্তা এ দখলে নীরব ভূমিকা পালন করছেন। এমনকি অতীতে এই পুকুরকে “চান্দিনা ভিটি” দেখিয়ে ইজারা দেয়ার ঘটনাও ঘটে, যা নিয়ে সচেতন মহলের প্রশ্ন উঠেছে। বর্তমানে দখলদাররা নানা কৌশলে পুকুরটি ভরাট করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে।
মহিপুর বন্দরের একমাত্র খাস পুকুর হিসেবে স্থানীয় দোকানি ও বাসিন্দাদের কাছে এটির গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু বর্জ্য ফেলা ও দখলদারিত্বের কারণে সাধারণ মানুষ এ থেকে কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না।
স্থানীয়রা দাবি করেছেন, অবিলম্বে পুকুরপাড়ের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পুকুরটি জনস্বার্থে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ইয়াসীন সাদেক এ বিষয়ে প্রতিবেদককে বলেন, “পুকুরটি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”