তূর্য দাশ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় জমিয়তের অপরাংশের শান্তিগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এম. আব্দুল হাফিজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে সিলেট নগরী থেকে তাকে আটক করা হয়।
গেল শুক্রবার সকালে দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের পুরাতন সুরমা নদী থেকে মাওলানা মুশতাকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে দিরাই সড়ক মোড়ে সিসি ক্যামেরায় তাকে সর্বশেষ দেখা যায়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন তার স্ত্রী রুবি বেগম শান্তিগঞ্জ থানায় সাধারণ জিডি করেন।
ঘটনার পর থেকে জমিয়তের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে রোববার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত দিরাই সড়ক মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। এতে সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং হাজারো যানবাহন আটকা পড়ে।
রোববার রাতে মুশতাকের স্ত্রী রুবি বেগম জমিয়তের অপরাংশের নেতা এম. আব্দুল হাফিজসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, এ মামলার নামীয় আসামি আব্দুল হাফিজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল হাফিজ শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের দরগাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জমিয়তের (ওয়াক্কাস গ্রুপ) নেতা এবং সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সৈয়দ তালহা আলমের সমর্থক। অন্যদিকে নিহত মাওলানা মুশতাক একই আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা হাম্মাদ আহমদ গাজীনগরীর আত্মীয় ও সমর্থক ছিলেন।
জমিয়তের একাংশের সম্ভাব্য প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সৈয়দ তালহা আলম ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, “মুশতাক গাজীনগরীর মৃত্যু রহস্য মামলায় আব্দুল হাফিজকে সন্দেহজনকভাবে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আমরা বিকালে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানাবো।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সোমবার দুপুরে বলেন, “মামলার এজাহার নামীয় আসামি আব্দুল হাফিজকে ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে আরও কাউকে জড়িত পাওয়া গেলে মামলায় নতুন আসামি যুক্ত হতে পারে।” দিরাই থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাকও একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।