মোঃ মাহিন খান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক কালের কণ্ঠের ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি ও নলছিটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কে এম সবুজের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ হামলা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহত কে এম সবুজকে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ১৯ জুন, স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদকে কেন্দ্র করে। “নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী দেখেন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি মোহাম্মদ মহসিন” শিরোনামের সেই সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই মহসিন সাংবাদিক কে এম সবুজের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন।
পরবর্তীতে মহসিন ও তাঁর সহযোগী রাশেদ খান মিঠুর নেতৃত্বে নলছিটি চায়না মাঠের উত্তর পাশে সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ শুরু হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা নির্দেশ অমান্য করে কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন।
এ ঘটনায় ইউএনও প্রেসক্লাব সভাপতি এনায়েত করিম ও সাধারণ সম্পাদক কে এম সবুজকে আলোচনার জন্য তাঁর কার্যালয়ে ডাকেন। দুপুর ২টার দিকে দুই সাংবাদিক ইউএনওর কার্যালয়ে গেলে সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন মহসিন ও রাশেদ খান মিঠু। ইউএনও তাদের নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এসময় কে এম সবুজ ইউএনওর বক্তব্যের সঙ্গে একমত হলে তাদের সঙ্গে কথার কাটাকাটি হয়।
পরে ইউএনওর সঙ্গে বৈঠক শেষে নিচে নামতেই মহসিন ও মিঠুর নেতৃত্বে পাঁচ-ছয়জন সন্ত্রাসী সাংবাদিক কে এম সবুজের ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
আহত সাংবাদিক কে এম সবুজ বলেন, “গত ১৮ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী মিজানুর রহমান মহসিনের নামে থানায় অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আমি সংবাদ প্রকাশ করি। এরপর থেকেই মহসিন আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিল। আজ ইউএনওর কার্যালয় থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই মহসিন ও মিঠুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমার ওপর হামলা চালায়।”
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালাম বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়, তবে কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”