মোঃ রানা, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার বেলকুচি প্রেসক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ ( HRPB) সিরাজগঞ্জ ইউনিটের প্রেসিডেন্ট সিনিয়র সাংবাদিক এ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম সরকার বুধবার অপরাহ্নে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপিতে “বেলকুচি প্রেসক্লাবের” নামে ইস্যুকৃত মাসব্যাপি সেই আনন্দ মেলার অনুমোদন বন্ধের দাবিতে (মেলা বন্ধ) দাবি জানানো হয়েছে।
এ স্মারক লিপিতে এলাকার জনস্বার্থে এই মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে, চলনান পরিস্থিতি তাঁত সমৃদ্ধ বেলকুচি এলাকায় মাসব্যাপি মেলা মেনে নিচ্ছে না কেউ? এজন্য বেলকুচি প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি এ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত দাবিতে বলা হয়, “যে যায়গায় মাসব্যাপি আনন্দ মেলার অনুমোদন দেওয়ায় হয়েছে সেটি বেলকুচি পৌর এলাকার অত্যান্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। আলহাজ্ব সিদ্দিক হাইস্কুল, দেলুয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা, বেলকুচি মডেল কলেজ, আইডিয়াল কিন্ডারগার্টেন, ৪/৫টি মসজিদ, জিধুরুী গাড়ামাসি জে এস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জিধুরী হাফিজিয়া কওমিয়া মাদ্রাসা, বেলকুচি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্টাফ কোয়ার্টার এবং প্রত্যয় শিক্ষা একাডেমিসহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া আনন্দ মেলার প্যান্ডেলের পাশেই রয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি মন্দির।
বিশেষ করে এ উপজেলায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বাদেও ইসলামি মনোভাবের লোকজনের সংখ্যা অস্বাভাবিক। এতে আলেম সমাজের মধ্যে এই মাসব্যাপি মেলা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এই মেলাকে ঘিরে চাপা উত্তেজনার মধ্যদিয়ে যে কোন সময় সংঘর্ষের আশংকা ও আইন শৃঙ্খলার উপর প্রভাব পরতে পারে ও এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
এমনকি বেলকুচিতে একাধিক সাংবাদিক সংগঠন রয়েছে, তাতে ২৫/৩০ জন সাংবাদিক রয়েছে তাদের সাথে কোন পরামর্শ না করেই আওয়ামী পন্থী কিছু সাংবাদিক সাথে নিয়ে মাসব্যাপি আনন্দ মেলার অনুমোদন নিয়েছে বেলকুচি প্রেসক্লাবের সভাপতি বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামীলীগের সাবেক উপদেষ্টা আলহাজ্ব সাইদুর রহমান।
স্মারকলিপি প্রদানকারী একজন সিনিয়র সাংবাদিক মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবি ও বেলকুচি প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি এ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম সরকার এ প্রতিনিধিকে বলেন, মেলা আয়োজনের ব্যাপারে বেলকুচি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রেসক্লাবের সদস্যদের নিয়ে কোন মিটিং আহবান করেন নাই। সাইদুর রহমান গং অনৈতিকভাবে আর্থিক লাভবান হওয়ার উদ্যেশে জেলা প্রশাসনকে ভূল তথ্য প্রদান করিয়া এ বিতর্কিত আনন্দ মেলার অনুমোদন হাসিল করেছেন।
পরিবেশবাদী মানবাধিকারকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মী এবং বেলকুচি প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি এ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম সরকার, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মেয়াদ উত্তির্ন বেলকুচি প্রেসক্লাবের বিতর্কিত কমিটি বাতিল করে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করে গনতন্ত্র প্রনয়ন করে বেলকুচির সর্বস্তরের সাংবাদিকদের নিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের দাবি জানান। সেই সাথে সমালোচিত আনন্দ মেলার বন্ধের দাবি জানান।