5169
Loading ...

চট্টগ্রামে কলেজছাত্রের করুণ মৃত্যু ঘিরে মামলায় ওসি ও প্রেমিকা আসামি

প্রতিবেদনে – কামরুল ইসলাম

পরিবারের কাছে গিয়ে ক্ষমা চান। তারা যদি অভিযোগটি তুলে নেন, তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে। এরপর থানা থেকে বের হয়ে নিজ ঘরে গিয়ে অপমানে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে আত্মহনন করেন রাফি।’

তবে রাফির বাবা সিএনজিচালক মো. মামুন পুলিশের এই দাবিকে মিথ্যা উল্লেখ করে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘রাফিকে এই অভিযোগে হাজতে চালান করে দেবে—এমন ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ওসি-তদন্ত আরমান। এ সময় আমার কাছে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা আছে জানালে সেই টাকাগুলো ওসি-তদন্ত আরমান বাথরুমে রেখে আসার নির্দেশ দেন। বাকি ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়া থানায় থাকাকালীন রাফিকে মানসিক নির্যাতন করা হয়।’

পুলিশের মানসিক নির্যাতনে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেবেন কিনা— এমন প্রশ্নে নিহতের বাবা মো. মামুন তখন বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, ওদের সঙ্গে তো পারবো না। ছেলে তো হারাইছি, আর কিছু করতে গেলে ওরা (পুলিশ) বিপদে ফেলবে আমাদের।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার ওসি-তদন্ত আরমান হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে ওই সময় বলেন, ‘এখানে অনেকগুলো মিথ্যা যুক্তি আমার বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হচ্ছে। আমি রাফির মা-বাবাকে থানায় ডেকে পাঠাইনি, রাফিই নিজের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে তাদের থানায় এনেছে। এছাড়া রাফিকে আমি হাজতে পাঠাবো যদি টাকা না দেয়, কিন্তু জিডিমূলে তো কাউকে অ্যারেস্ট করা যায় না। আমি তো প্রথমবারই এই অভিযোগের তদন্তের স্বার্থে ওর সঙ্গে কথা বলার জন্য থানায় ডেকেছি।’

চাঁদা দাবির বিষয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, ‘এগুলো জাস্ট কথার কথা, আমি কোনো ধরনের টাকা দাবি ও মানসিক নির্যাতন করিনি। আপনারা চাইলে আমার রুমের সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে পারেন। কাউকে মানসিক নির্যাতন করলে তো সেই চিত্র ভিডিও দেখে হলেও কিছুটা বুঝতে পারবেন।’

Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *