জোবায়েদ হোসেন, (ডুয়েট প্রতিনিধি): প্রকৌশল খাতের সংকট নিরসনে চার দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শহিদ আবু সাঈদ প্রশাসনিক ভবনের’ সামনে হতে উক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মিছিল শুরু হয়। প্রথমে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিন করে মিছিল গিয়ে স্থির হয় গাজীপুর জেলার শিববাড়ি মোড়ে। সেখানে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। স্লোগানে, বক্তব্যে তাঁদের দাবি তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রকৌশল খাতকে সমৃদ্ধ করা, এ খাতের বৈষম্য দূর করা এবং সম্প্রতি ঢাকার কাকরাইলে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার, শাহবাগে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং রংপুরে নেসকোতে ডুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রকৌশলী গোলাম হোসেনকে কেন্দ্র করে মব সৃষ্টি করে বদলি করার ঘটনার প্রতিবাদে তারা এই কর্মসূচি আয়োজন করেছেন।

এ সময় তারা প্রকৌশল খাতের সংকট নিরসনে চার দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো—
১. IEB-এর সদস্যপদ ব্যতীত কোনো ব্যক্তি তার নামের পূর্বে “ইঞ্জিনিয়ার” উপাধি ব্যবহার করতে পারবে না।
২. মেধা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যৌক্তিক উপায়ে পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সরকারকে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে ন্যায়সংগত নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
৩. বিএসসি প্রকৌশলীদের জন্য সরকারি খাতে এন্ট্রি-পোস্ট বৃদ্ধি, বেসরকারি খাতে সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো ও চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগে বিদ্যমান প্রক্রিয়া বহাল রাখতে হবে।
৪. ডুয়েট, বুয়েট, চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েট—এই পাঁচ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে প্রকৌশলী নিয়োগের জন্য একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান গঠন করতে হবে। টেকনিক্যাল জ্ঞানকে মূল মূল্যায়ন উপাদান হিসেবে বিবেচনা করতে হবে এবং প্রার্থীদের নন-টেকনিক্যাল দক্ষতা যাচাইয়ের উপযুক্ত অংশ সংযোজন করতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচির এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবেন এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
তার আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে আজকের অবস্থান কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।