
মনিরুল ইসলাম মনির, (নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি)
নারায়ণগঞ্জ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক সংকট দিন দিন চরমে পৌঁছেছে। জেলার ৫৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে বর্তমানে ৩৭৩টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক শূন্য রয়েছে, যা মোট বিদ্যালয়ের এক তৃতীয়াংশের বেশি। এছাড়া
৮৭টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক চলতি দায়িত্ব পালন করছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসী বেগম জানান দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বন্ধ থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। দ্রুত পদ পূরণের দাবি জানানো হয়েছে।
সহকারী শিক্ষক ফয়েজ আহমদ (বাড়ি মজলিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনারগাঁ) বলেন, “প্রধান শিক্ষক না থাকায় প্রশাসনিক কাজ থেকে শুরু করে একাডেমিক কার্যক্রম সবকিছুতেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।
মোঃ হারুন অর রশিদ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক (ভবনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনারগাঁ) জানান একজন সহকারী শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নেওয়া ও প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব একসাথে পালন করা কষ্টসাধ্য। এতে কোনো কাজই ঠিকভাবে সম্পন্ন করা যায় না।
কাউসার আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক (হাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনারগাঁ) বলেন দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও কোনো প্রশাসনিক ক্ষমতা নেই। এতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে জটিলতা দেখা দেয়।
বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ১১৯ টি পদ শূন্য রয়েছে। ফলে শিক্ষক-সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।
জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ঘুরে দেখা গেছে, প্রধান শিক্ষক না থাকায় প্রশাসনিক কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, শিক্ষকদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব তৈরি হয়েছে এবং অভিভাবকরাও অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।
সচেতন মহল এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দ্রুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না হলে জেলার প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা বড় ধরনের সংকটে পড়বে।