
তানজিল জামান জয় (পটুয়াখালী প্রতিনিধি)
দেখে মনে হবে এটি কোনো কৃষকের হালচাষ করা জমি। অথচ আসলে এটি রাস্তা। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহীপুর ইউনিয়নের মহীপুর বাজার থেকে ডাবলুগঞ্জের মনসাতলী হয়ে ধুলাসারের তারিকাটা-অনন্তপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁচা রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে।
তিন ইউনিয়নের অন্তত ২০ গ্রামের হাজারো মানুষ প্রতিদিন এ পথে চলাচল করেন। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুসমান কাদা জমে যায়। এতে যানবাহন তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে।
এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল–কলেজগামী শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। কর্দমাক্ত রাস্তায় হেঁটে যেতে গিয়ে তারা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। ভেজা কাপড়-চোপড়ে ক্লাস করতে হয়, অনেক সময় পা পিছলে পড়ে বই-খাতা ও জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। এতে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি কমে যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় শিক্ষকরা।
কৃষকরাও পড়েছেন চরম বিপাকে। সড়কের করুণ দশার কারণে তারা উৎপাদিত ফসল বাজারে নিতে পারেন না। বাধ্য হয়ে স্থানীয় হাটে কম দামে বিক্রি করতে হয়। মহিপুর থানা, ভূমি অফিস, ব্যাংক ও মৎস্য বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতেও যোগাযোগে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
ধুলাসার ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের অশীতিপর বাসিন্দা আজহার খাঁন বলেন, “আমাদের বাপ-দাদারা যেমন কাদা মাড়িয়ে জীবন কাটিয়েছেন, আমরাও তাই করছি। বর্ষা এলেই হাঁটু কাদা মাড়িয়ে চলতে হয়। কবে যে এ রাস্তা পাকা হবে, তা জানি না।”
এ বিষয়ে মহীপুর ও ধুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা জানান, জনস্বার্থে এ রাস্তা পাকা করা জরুরি। তবে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে বড় বাজেটের এই কাজ করা সম্ভব নয়।
কলাপাড়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. সাদেকুর রহমান বলেন, “রাস্তাটি কাঁচা রয়েছে। তবে নতুন প্রকল্প পেলে এবং বরাদ্দ পাওয়া গেলে কাজ শুরু করা হবে।”