আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, কেউ কালো টাকা ছড়ানোর চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে নির্বাচনের সময় দুদকের বিশেষ দল মাঠে কাজ করবে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান এ কথা জানান। তিনি বলেন, “নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে যদি কেউ এই অপচেষ্টা চালায়, দুদকসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা তা প্রতিরোধে তৎপর থাকবে।”
চেয়ারম্যান আরও বলেন, নির্বাচনের সময় অর্থব্যয়ের প্রবণতা বেড়ে যায়। ভোটার কেনাবেচারও একটি প্রবণতা সমাজে বিদ্যমান। টাকা-পয়সার এই ব্যবহারকে দুটি দিক থেকে দেখা যায়—ডিমান্ড সাইড ও সাপ্লাই সাইড। সাপ্লাই সাইড বন্ধ করতে ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও দুদক কঠোর ভূমিকা পালন করবে। তিনি সতর্ক করেন, অবৈধ টাকার ছড়াছড়ি মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়ে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এ ছাড়া নির্বাচনে প্রার্থীদের সম্পদ বিবরণীতে ভুয়া তথ্য দিলে তা প্রকাশ করতে গণমাধ্যম ও নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান দুদক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “হলফনামা জমা দেওয়ার পর আমাদের হাতে সময় সীমিত থাকে। তাই কারও তথ্য লুকানোর খবর থাকলে তা আমাদের জানাতে হবে।”
সবাইকে এখন থেকেই ‘দুর্নীতিগ্রস্ত এমপি প্রার্থী চাই না’ বলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন, সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।