বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কুলাউড়া উপজেলা সম্মেলনকে সামনে রেখে নেতৃত্ব, প্রটোকল ও প্রতিনিধিত্ব নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন এক আত্মপ্রত্যয়ী ও সুপরিচিত নেতা—সুফিয়ান আহমেদ। তিনি একমাত্র প্রার্থী হিসেবে ইউনিয়ন থেকে উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করে, ইউনিয়নের মর্যাদা রক্ষায় একটি সাহসী খোলা চিঠি প্রকাশ করেছেন, যা ইতোমধ্যেই তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
“নেতৃত্ব আমদানির দিন শেষ হওয়া উচিত” — সুফিয়ান আহমেদ
চিঠিতে তিনি পরিষ্কারভাবে প্রশ্ন তুলেছেন,
“যদি পৌর কমিটিতে ইউনিয়নের প্রতিনিধিত্ব নিষিদ্ধ থাকে, তবে কেন বারবার পৌরসভা থেকে উপজেলা নেতৃত্ব আমদানি করতে হবে?”
এই প্রশ্নের ভেতরে শুধু একটি বৈষম্যই নয়, ফুটে উঠেছে গণতান্ত্রিক শুদ্ধতার প্রশ্ন। তাঁর মতে, পৌর নাগরিকরা ইউনিয়নের ভোটার হতে না পারলেও, তারা উপজেলায় নেতৃত্বের আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন—যা একটি সাংগঠনিক অসাম্য তৈরি করছে। অথচ ইউনিয়নের ভোটাররা পৌর কমিটিতে অংশ নিতে পারেন না।
ইউনিয়নের শক্তি ও সক্ষমতা উপেক্ষিত হচ্ছে
সুফিয়ান আহমেদ দৃঢ় কণ্ঠে বলেন:
“আমাদের ইউনিয়নে এমন অনেক নেতৃত্ব আছে, যারা প্রয়োজন হলে সংসদ সদস্যও হতে পারে। তাহলে কেন আমরা প্রতিবার পৌর নেতৃত্বের ছায়ায় থাকবো?”
তিনি এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান তৈরির ডাক দিয়েছেন।
আন্দোলনের সৈনিক, একমাত্র প্রার্থী হিসেবে আত্মবিশ্বাসী আবেদন
নিজেকে ইউনিয়নের একমাত্র সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন,
“আমি হামলা-মামলা, আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে থেকে প্রমাণ করেছি—আমি দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। ইউনিয়নের স্বার্থে আমি কথা বলি, কাজ করি। তাই ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সমর্থন পাওয়াটাই স্বাভাবিক প্রত্যাশা।”
তিনি এটাও স্পষ্ট করেছেন যে ইউনিয়ন থেকে আর কেউ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না—অর্থাৎ, তাঁর পেছনে ঐক্য গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।
১৩টি ইউনিয়নের পক্ষ থেকে একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর গড়ার আহ্বান
সুফিয়ান আহমেদ চিঠির শেষাংশে ১৩টি ইউনিয়নের কাউন্সিলরদের প্রতি সরাসরি আহ্বান জানিয়েছেন:
“এখন সময় ইউনিয়নের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার। সঠিক নেতৃত্ব বেছে নিন, ইউনিয়নের কণ্ঠস্বর উপজেলা পর্যায়ে তুলে ধরুন।”